
সেক্সটয়
রাত জাগা সবুজ বাতির
প্রজ্জ্বলনে—
তোমাকে সেক্সটয় মনে হয়!
কথাবহুল প্রেমকে মনে হয়—
দূর গ্রহ থেকে ভেসে
আসা সংকেত
এসব ছাপিয়ে, আমাদের ছিলো—
শাপলার বিল ভরা হেমন্তের
রোদ।
থাকতে পারতো— তোমার চোখে তরতাজা চুমু,
পাশাপাশি বসে থাকা নীরবতার
অঃনিশেষ অনুবাদ
আমাদের ছিলো হৃদয় ভরা
ফড়িঙের ছোটাছুটি
হঠাৎ মাছের ঝাঁকের কাঁপিয়ে দেয়া জল!
থাকতোনা— বাড়ি ফেরার তাড়া!
আমাদের নিঃশ্বাসের সমান গতিতে
ঘন হয়ে আসতো রাত্রি!
শীতের ডাক
আসন্ন শীত এতো বেশি
কাঁপিয়ে দেয় তোমাকে
হেমন্তের রাত্রেই—
কড়া নাড়তে থাকো আমার ঘুমে
ঘুম ভাঙিয়ে জাগাতে চাও— ছাই চাপা
আগুন
নিদ্রায় তলিয়ে যেতে যেতে, ভেঙে
যেতে যেতে
হঠাৎ ডেকে ওঠো, আগুন
আগুন!
জানতে চাও— চাই কিনা
শিকারের সন্ধান?
এতোটাই শীতার্ত এই হেমন্ত যে
বাকরুদ্ধ হয়ে যায় তার
ঠোঁট ও জিহ্বা
ঝলসানো শীতের ডাকে
প্রাক্তন মুখ
এমনকি একদিন হয়তো নিভে যাবে
উপচে পড়া স্তনের ক্রোধ!
পুরাতন কথারা মিলিয়ে দূর হবে
আরো কথাদের প্রতিধ্বনির ভিড়ে
ভেঙে পড়া ধ্বংস্তুপের নিচে
একদিন মুছে যেতে পারে
গোপন প্রণয়
প্রশ্বাস থেকে নিঃশ্বাসের দূরত্বে
বেদনাও তখন হেসে উঠতে
পারে ঠাট্টারসে!
মৃত্যুর সমান মানুষের প্রেমে
কখনো সখনো অকস্মাৎ ভেসে
ওঠে—
প্রাক্তন কোনো কোনো মুখ!
বেদনার গাঢ় রস
ভেঙে পড়া সূর্য্দয়ের নিচে
কাউকেই চাইছিনা আর
পাখিরা ডাকছে, উড়ছে, রোদের গায়ে গায়ে
আকাশে লেপ্টে থাকা শ্রাবণের মেঘ—
দূরান্তে মায়া জাগিয়ে, মোহগ্রস্ত
করে দিচ্ছে
চাতক মানুষদের!
যদি এই তপ্ত দুপুরে
অবিরাম বৃষ্টি আসে,
আসে আমাদের স্নানের ঠান্ডা জল
আমরা কি আবারো উলঙ্গ
হবো একে অপরের
চোখের কাছে?
শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়ে থাকবে
মাঠের পর মাঠ
চিকচিকে উজ্জ্বলতায় বেদনার গাঢ় রস
প্রস্ফুটনে রক্তিম?
অপার্থিব
এমন অলৌকিক রাতে অরণ্যে ভর
করে চাঁদ
জোছনারা পাড়ি দেয় নদীর
ঢেউ পৃষ্ঠে
তীরে জেগে থাকা কুকুরের
আর্তনাদে আমাদেরও প্রেম জাগে
হৃদয় সাঁতরে পাড়ি দিতে চায়
অলৌকিক জোছনা
আয়ুস্মতি প্রেম হৃদয়ে পুড়ে মধুমতী বয়ে যায়!
বইমেলা থেকে ফিরে
পেছনে ফেলে আসছি বইমেলা,
মানুষের ভিড়
ভিড় ঠেলে তুমি এসে
দাঁড়াচ্ছো রাতের রূপপুরে
প্রথম প্রকাশিত বইয়ের মলাট খুলে শুনছি—
বিদায়ের হুইসেল
এরপরও বহুবার ফিরেছো তুমি
বহুবার মলাট খোলার নিঃশব্দে রেখেছি— সমবেদনা
লক্ষ্যচ্যুত
তোমার শিশ্নের পাশে ছড়িয়ে আছে—
বিচ্ছেদের সুর
কিছুটা ঝুঁকে আছে আদিম রাত,
কিছুটা মিলিয়ে গেছে কুয়াশায়
সুর থেকে উঠে আসে
প্রাচীন তীরন্দাজ
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে শিকার
করে যাবতীয় সুখ!